কেন মার খাচ্ছে বিশ্ব মুসলিম?
প্রিয় ভাই ও বোন! ভাবতেও কষ্ট হয় যে, আজ মুসলমান রা জায়গায় জায়গায় লাঞ্চিত,নির্যাতিত। ফিলিস্তিন, আফগান, কাশ্মীর, মিয়ানমার, অবশেষে ভারত। কি ধারাবাহিকতা নির্যাতনের।
রাসুলুল্লাহ সা. চৌদ্দশত বছর আগে বিধর্মীদের দ্বারা মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। আজ তার ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সুনানে আবু দাউদের একটি হাদীসে বর্ণিত আছে,
عَنْ ثَوْبَانَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يُوشِكُ الْأُمَمُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَى الْأَكَلَةُ إِلَى قَصْعَتِهَا ، فَقَالَ قَائِلٌ : وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ ؟ قَالَ : بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ ، وَلَكِنَّكُمْ غُثَاءٌ كَغُثَاءِالسَّيْلِ ، وَلَيَنْزَعَنَّ اللَّهُ مِنْ صُدُورِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَابَةَ مِنْكُمْ ، وَلَيَقْذِفَنَّ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمُ الْوَهْنَ ، فَقَالَ قَائِلٌ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، وَمَا الْوَهْنُ ؟ قَالَ : حُبُّ الدُّنْيَا ، وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ
তোমাদের ওপর এমন একটি সময় আসবে, তোমাদের বিরুদ্ধে সকল জাতি এমনভাবে ডাকবে, যেমনটি খাওয়ার দস্তরখানের দিকে লোকদের ডাকা হয়ে থাকে! এ কথা শোনে একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সে দিন কি আমাদের মুসলিমদের সংখ্যা কম হবে? রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, না, সেদিন তোমরা সংখ্যায় কম হবে না। বরং তোমরা সেদিন আরো অনেক বেশি হবে। তবে তোমরা বন্যার পানির উপরিভাগে ভাসমান খড়কুটার মত হবে। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দুশমনদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন। আর তোমাদের অন্তরে ওহান ঢেলে দেবেন। এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ওহান জিনিসটি কী? রাসূল সা. বললেন, দুনিয়ার মহব্বত আর মৃত্যুকে অপছন্দ করা।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪২৯৭)
প্রিয় ভাই ও বোন! উল্লেখিত হাদীসে রাসুলুল্লাহ সা. মুসলমানদের নির্যাতিত ও লাঞ্চিত হওয়ার দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন। এ দু’টি কারণ বর্তমান যুগের অধিকাংশ মুসলমানের মাঝে পাওয়া যায়। একটি হলো দুনিয়ার মহব্বত, আরেকটি হলো মৃত্যুর ভয়। তারা দুনিয়ার মহব্বতে এমন পাগল যে, দুনিয়ার ধনসম্পদ ও সম্মান-মর্যাদা অর্জনে সদা ব্যস্ত থাকায় আল্লাহর হুকুম পালনে চরম উদাসীন। আর মৃত্যুর ভয়ে এমন ভীত যে জালিম কাফির মুশরিকদের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিহাদ করার সাহস পায় না।
প্রিয় ভাই ও বোন! ঈমানদারগণ যদি দুনিয়ার মোহে পড়ে সৎ আমল করতে অবহেলা না করত, দুনিয়ার বিলাসিতা ছেড়ে খোদার পথে চলে আসত, তাহলে আজকে এই দিন দেখতে হতো না।
বিশ্বপ্রভু মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَلا تَهِنُوا وَلا تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
তোমরা লাঞ্চিত হবেনা, চিন্তাগ্রস্ত হবেনা, এবং তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা ইমানদার হও।( আলে ইমরান-১৩৯)
প্রিয় ভাই ও বোন! আমরা হতভাগা! আমরা পাপিষ্ঠ, পাপের মোহে পড়ে আমরা আমাদের শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। আসুন ইমানী শক্তি নিয়ে আবারো ঘুরে দাড়াই, কুফরি শক্তির আবারো পতন ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
রাসুলুল্লাহ সা. চৌদ্দশত বছর আগে বিধর্মীদের দ্বারা মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। আজ তার ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সুনানে আবু দাউদের একটি হাদীসে বর্ণিত আছে,
عَنْ ثَوْبَانَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يُوشِكُ الْأُمَمُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَى الْأَكَلَةُ إِلَى قَصْعَتِهَا ، فَقَالَ قَائِلٌ : وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ ؟ قَالَ : بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ ، وَلَكِنَّكُمْ غُثَاءٌ كَغُثَاءِالسَّيْلِ ، وَلَيَنْزَعَنَّ اللَّهُ مِنْ صُدُورِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَابَةَ مِنْكُمْ ، وَلَيَقْذِفَنَّ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمُ الْوَهْنَ ، فَقَالَ قَائِلٌ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، وَمَا الْوَهْنُ ؟ قَالَ : حُبُّ الدُّنْيَا ، وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ
তোমাদের ওপর এমন একটি সময় আসবে, তোমাদের বিরুদ্ধে সকল জাতি এমনভাবে ডাকবে, যেমনটি খাওয়ার দস্তরখানের দিকে লোকদের ডাকা হয়ে থাকে! এ কথা শোনে একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সে দিন কি আমাদের মুসলিমদের সংখ্যা কম হবে? রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, না, সেদিন তোমরা সংখ্যায় কম হবে না। বরং তোমরা সেদিন আরো অনেক বেশি হবে। তবে তোমরা বন্যার পানির উপরিভাগে ভাসমান খড়কুটার মত হবে। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দুশমনদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন। আর তোমাদের অন্তরে ওহান ঢেলে দেবেন। এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ওহান জিনিসটি কী? রাসূল সা. বললেন, দুনিয়ার মহব্বত আর মৃত্যুকে অপছন্দ করা।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪২৯৭)
প্রিয় ভাই ও বোন! উল্লেখিত হাদীসে রাসুলুল্লাহ সা. মুসলমানদের নির্যাতিত ও লাঞ্চিত হওয়ার দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন। এ দু’টি কারণ বর্তমান যুগের অধিকাংশ মুসলমানের মাঝে পাওয়া যায়। একটি হলো দুনিয়ার মহব্বত, আরেকটি হলো মৃত্যুর ভয়। তারা দুনিয়ার মহব্বতে এমন পাগল যে, দুনিয়ার ধনসম্পদ ও সম্মান-মর্যাদা অর্জনে সদা ব্যস্ত থাকায় আল্লাহর হুকুম পালনে চরম উদাসীন। আর মৃত্যুর ভয়ে এমন ভীত যে জালিম কাফির মুশরিকদের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিহাদ করার সাহস পায় না।
প্রিয় ভাই ও বোন! ঈমানদারগণ যদি দুনিয়ার মোহে পড়ে সৎ আমল করতে অবহেলা না করত, দুনিয়ার বিলাসিতা ছেড়ে খোদার পথে চলে আসত, তাহলে আজকে এই দিন দেখতে হতো না।
বিশ্বপ্রভু মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَلا تَهِنُوا وَلا تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
তোমরা লাঞ্চিত হবেনা, চিন্তাগ্রস্ত হবেনা, এবং তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা ইমানদার হও।( আলে ইমরান-১৩৯)
প্রিয় ভাই ও বোন! আমরা হতভাগা! আমরা পাপিষ্ঠ, পাপের মোহে পড়ে আমরা আমাদের শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। আসুন ইমানী শক্তি নিয়ে আবারো ঘুরে দাড়াই, কুফরি শক্তির আবারো পতন ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
No comments