ইসলামী আকিদার গুরুত্ব ও উৎস
১. এক আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসীগণ প্রশান্তচিত্তের অধিকারী, বিপদে-আপদে, তারা শুধু তাঁকেই আহ্বান করে, পক্ষান্তরে বহু-ঈশ্বরবাদীরা বিপদক্ষণে কাকে ডাকবে, এ সিদ্ধান্ত নিতেই কিংকর্তব্য বিমুঢ়।
২. মহান আল্লাহ সর্বোজ্ঞ, সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা সুতরাং তিনি সব জানেন, সব দেখেন এবং সব শোনেন। কোনো কিছুই তাঁর নিকট গোপন নয়-এমন বিশ্বাস যিনি করবেন, তিনি আল্লাহর ইচ্ছায় প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল পাপ হতে মুক্ত থাকতে পারবেন।
৩. নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা জ্ঞান, শ্রবণ, দর্শন ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের অতি নিকটবর্তী। তিনি দোআকারীর দোআ কবুল করেন, বিপদগ্রস্তকে বিপদমুক্ত করেন। বিশুদ্ধ ‘আকিদা বিশ্বাস লালনকারীগণ এটি মনেপ্রাণে গ্রহণ করে সর্বাবস্থায় তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করে। পক্ষান্তরে একাধিক মাবুদে বিশ্বাসীগণ দোদুল্যমান অবস্থায় অস্থির-অশান্ত মনে এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করে। সুতরাং একজন মুমিন মুসলামানের জন্য আকিদা বা বিশ্বাসকে গুরুত্ব প্রদান করা অবশ্যক।
আকিদার উৎস : ইসলামি বিশ্বাস বা ‘আল-আকিদাহ আল-ইসলামিয়্যাহ’-এর ভিত্তিগত উৎস কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান। পবিত্র কোরআনে ও সহিহ হাদিসে যা বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে তাই বিশ্বাস করা এবং যেভাবে বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে সেভাবেই বিশ্বাস করা ইসলামি আকিদার মূল ভিত্তি। এছাড়া বিশ্বাস বনাম জ্ঞানবিশ্বাস বা ঈমানের ভিত্তি হলো জ্ঞান। কোনো বিষয়ে বিশ্বাস করতে হলে তাকে জানতে হবে। বিশুদ্ধ ঈমান বা বিশ্বাসই যেহেতু দুনিয়া ও আখিরাতে মানবীয় সফলতার মূল চাবিকাঠি সেহেতু ঈমান বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করাই মানব জীবনের সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ দায়িত্ব। মহান আল্লাহ বলেন, অতএব তুমি জেনে রাখ যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ বা উপাস্য নেই। [ইবনু আবি আসিম, আবূ বাকর আমর (২৮৭ হি), কিতাবুস সুন্নাহ (বৈরুত, আল-মাকতাব আল-ইসলামী, ৩য় মুদ্রণ, ১৯৯৩] সুতরাং বিশুদ্ধ ঈমান বিষয়ক সঠিক জ্ঞানই মানব জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান।
আকিদার মূল ভিত্তি : ইসলামি আকিদার মূল ভিত্তি হলো, আল্লাহ, ফিরিশতাগণ, আসমাসি কিতাবসমূহ, আল্লাহর প্রেরিত নবি-রাসূলগণ, আখিরাত দিবস এবং তাকদিরের ভালো কিংবা মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। এ মর্মে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেন, বরং ভালো কাজ হলো, যে ঈমান আনে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফিরিশতাগণ, কিতাব ও নবিগণের প্রতি। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৭৭]
তিনি আরো ইরশাদ করেন, রাসূল তার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে নাজিলকৃত বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছে, আর মুমিনগণও। প্রত্যেকে ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তাঁর ফিরিশতাকুল, কিতাবসমূহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি, আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৮৫]
আরো ইরশাদ হেয়েছে, আর যে কেউ আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিনকে অস্বীকার করবে, সে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত হবে। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৩৬]
হজরত জিবরাইলল আলাইহিস সালাম ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ (সা.) উত্তরে বলেন, ঈমান হলো, আল্লাহর উপর ঈমান স্থাপন করা, আল্লাহর ফিরিশতা, আসমানি কিতাবসমূহ, আল্লাহর প্রেরিত নবি-রাসূলগণ, আখিরাত দিবস এবং তাকদিরের ভালো কিংবা মন্দের উপর ঈমান আনয়ন করা। [সহিহ মুসলিম ২/৮]
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য : ‘আকিদা’ শব্দটি প্রায়ই ঈমান ও তাওহিদের সঙ্গে গুলিয়ে যায়। মূলত অস্বচ্ছ ধারণার ফলে এমনটা হয়। প্রথমত, ঈমান সমগ্র দ্বীনকেই অন্তর্ভুক্ত করে। আর আকিদা দীনের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। দ্বিতীয়ত, আকিদার তুলনায় ঈমান আরও ব্যাপক পরিভাষা। আকিদা হলো কিছু ভিত্তিমূলক বিষয়ের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের নাম। অন্যদিকে ঈমান শুধু বিশ্বাসের নাম নয়; বরং মৌখিক স্বীকৃতি ও কর্মে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার বাস্তব প্রতিফলনকে অপরিহার্য করে দেয়। সুতরাং ঈমানের দুটি অংশ। একটি হলো অন্তরে স্বচ্ছ আকিদা পোষণ। আরেকটি বিষয় হলো বাহ্যিক তৎপরতায় তার প্রকাশ। এ দুটি পরস্পরের সঙ্গে এমনভাবে সংযুক্ত যে কোনো একটির অনুপস্থিতি ঈমানকে বিনষ্ট করে দেয়। তৃতীয়ত, আকিদা হলো ঈমানের মূলভিত্তি। আকিদা ব্যতীত ঈমানের উপস্থিতি তেমন অসম্ভব, যেমনিভাবে ভিত্তি ব্যতীত কাঠামো কল্পনা করা অসম্ভব।
একনজরে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ কিছু আকিদা-বিশ্বাস : ১. আল্লাহ একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। (আকিদাতুত্ ত্বাহাভি)। ২. আল্লাহর সত্তাও অনাদি, তাঁর গুণাবলিও অনাদি। (প্রাগুক্ত)। ৩. আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত সব কিছু অনিত্য, পরবর্তী সৃষ্ট। (শরহে আকায়েদ নাসাফিয়া)। ৪. বিবেক, শক্তি ও চক্ষুদ্বয় আল্লাহ তায়ালার সত্তাকে আয়ত্ত করতে পারে না। (আকিদাতুত্ ত্বাহাভি)। ৫. আল্লাহ তায়ালা কারো মুখাপেক্ষী নন। সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী। (প্রাগুক্ত)। ৬. আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। (প্রাগুক্ত)। ৭. আল্লাহ তায়ালা চিরঞ্জীব। তাঁর মৃত্যু নেই। (প্রাগুক্ত)। ৮. আল্লাহ তায়ালার সমকক্ষ কেউ নেই। (প্রাগুক্ত)। ৯. কোনো বস্তুতে আল্লাহ তায়ালার সাদৃশ্য নেই। (প্রাগুক্ত)। ১০. আল্লাহ তায়ালা দৃশ্য-অদৃশ্য সব বিষয়ে জ্ঞাত। (প্রাগুক্ত)। ১১. আল্লাহ তায়ালা সর্বদ্রষ্টা। কোনো কিছুই তাঁর দৃষ্টি থেকে অদৃশ্য নয়। (প্রাগুক্ত)। ১২. আল্লাহ তায়ালা নিচু ও উচ্চ- সব শব্দ শ্রবণ করে থাকেন। (প্রাগুক্ত)। ১৩. আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা ব্যতীত কোনো কিছুই হতে পারে না। (প্রাগুক্ত)। ১৪. আল্লাহ তায়ালা সর্বশক্তিমান। কোনো কিছুই তাঁর শক্তির বহির্ভূত নয়। (প্রাগুক্ত)। ১৫. আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কেউ অদৃশ্যের জ্ঞান রাখেন না, এমনকি নবীগণও নন, অলিগণও নন। (শরহে আক্বাইদ)। ১৬. আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কেউ হাজির নাজির (সর্বত্র উপস্থিত ও দর্শক) নন। এমনকি নবীগণও নন অলিগণও নন। (বাদাইউল কালাম ফি আক্বাঈদিল ইসলাম)। ১৭. আল্লাহ তায়ালার কোনো সন্তান নেই, স্ত্রীও নেই। (সুরায়ে জ্বিন, আয়াত : ৩)। ১৮. আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর স্রষ্টা। (আকিদাতুত্ ত্বাহাভি)। ১৯. আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি বস্তুর (প্রাণীর) পরিমাণমতো রুজিদাতা। (প্রাগুক্ত)। ২০. আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ ব্যতীত না জীবন হতে পারে, না মৃত্যু। (প্রাগুক্ত)। ২১. আল্লাহ তায়ালাই সব রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। তিনিই সব প্রয়োজন পূরণকারী। (প্রাগুক্ত)। ২২. আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে সিজদা করা, কারো নামে মানত করা কুফরি। (সুরা হা-মীম সিজদা, আয়াত : ৩৫, সুরা মা-ইদাহ, আয়াত : ৩)। ২৩. মৃতদের থেকে সাহায্য প্রার্থনা করা শিরক। (বাদাইউল কালাম)। ২৪. ভালো-মন্দ সব কিছুর সিদ্ধান্ত আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হয়। (আকিদাতুত্ ত্বাহাভি)। ২৫. সব নবী ও রাসুলের প্রতি ইমান রাখা। (শরহে আক্বাইদ)। ২৬. সব নবীগণকে নিষ্পাপ মনে করা। (প্রাগুক্ত)। ২৭. নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও রাসুল। (আকিদাতুত্ ত্বাহাভি)। ২৮. আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কিয়ামত পর্যন্ত সব মানুষ ও জ্বিনের প্রতি প্রেরিত। (প্রাগুক্ত)। ২৯. তিনি সব রাসুলের সর্দার ও সর্বশেষ নবী। (প্রাগুক্ত)। ৩০. নবী করিম (সা.)-এর জাগ্রত অবস্থায় সশরীরে মিরাজে গমন করা সত্য। (শরহে আক্বাইদ)। ৩১. তাঁর পর কোনো নবীই নেই, না মূল নবী, না ছায়া নবী। (বাদাইউল কালাম)। ৩২. তাঁর পরে নবুওয়তের দাবিদার ও তাদের অনুসারীরা সবাই কাফের। (প্রাগুক্ত)। ৩৩. হজরত ঈসা (আ.)-এর জীবিত থাকা এবং তাঁকে আকাশে উঠিয়ে নেওয়া সত্য। (সুরা নিসা, আয়াত : ১৫৮)। ৩৪. হজরত ঈসা (আ.) আমাদের রাসুল (সা.)-এর শরিয়তের অনুসারী হয়ে কিয়ামতের আগে আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। (শরহে আক্বাইদ)। ৩৫. হজরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে আল্লাহর ছেলে হওয়ার ও তিন খোদার এক খোদা হওয়ার বিশ্বাসী ব্যক্তি কাফের। (সুরা মা-ইদাহ, আয়াত : ৭৩, সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৪৯)। ৩৬. কোরআন ও হাদিস শরিফকে অস্বীকার করা, নবী করিম (সা.)-এর প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা, শরিয়তকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা কুফরি। (বাদাইউল কালাম, শরহে আক্বাইদ)। ৩৭. নবীগণের মুজিযা সত্য। (শরহে আক্বাইদ)। ৩৮. নবীগণ নিজ নিজ কবরে জীবিত। (মুসনাদে আবি ইয়ালা)। ৩৯. সাহাবায়ে কেরাম উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। (শরহে আক্বাইদ)। ৪০. সব সাহাবায়ে কিরাম সমালোচনার ঊর্ধ্বে। (প্রাগুক্ত)। ৪১. সাহাবায়ে কিরাম আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় বান্দা, তাঁরা দুনিয়ায়ই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। (সুরা তাওবা, আয়াত : ১০০)। ৪২. সাহাবায়ে কিরামের মুহাব্বত ইমানের অংশ। (আকিদাতুত্ ত্বাহাভি)। ৪৩. সাহাবায়ে কিরামের সঙ্গে দুশমনি রাখা, তাঁদের সমালোচনা করা মুনাফেকি। (প্রাগুক্ত)। ৪৪. খোলাফায়ে রাশেদিনের মর্যাদা তাঁদের খিলাফতের ক্রমবিন্যাস মতে। (প্রাগুক্ত)। ৪৫. সাহাবায়ে কিরাম পরস্পরের যুদ্ধ ও মতবিরোধে সবাই সত্যের ওপর ছিলেন। (প্রাগুক্ত)। ৪৬. অলিগণ আল্লাহ তায়ালার নিকটতম বান্দা। (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৬২)। ৪৭. তাঁরা মর্যাদায় নবীগণ ও সাহাবায়ে কিরাম থেকে নিচুস্তরের। (বাদাইউল কালাম)। ৪৮. অলিগণের কারামত সত্য। (আকিদাতুত্ ত্বাহাভি)। ৪৯. পূর্বপুরুষদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং চার ইমামের তাকলিদ করা অত্যন্ত জরুরি। (প্রাগুক্ত)। ৫০. আল্লাহ তায়ালার সব ফিরিশতার ওপর ইমান রাখা। (প্রাগুক্ত)। ৫১. আল্লাহ তায়ালার নাজিলকৃত সব কিতাবের ওপর ইমান রাখা। (প্রাগুক্ত)। ৫২. ইমান রাখা যে কোরআনে কারিম আল্লাহ তায়ালার কালাম বা বাণী। (প্রাগুক্ত)। ৫৩. কোরআন শরিফ নাজিল হওয়ার পর আগের সব আসমানি কিতাব রহিত হয়ে গেছে। (শরহে আক্বাইদ)। ৫৪. শেষ জামানায় ইমাম মাহদী (আ.)-এর খেলাফত সত্য। (মিশকাত শরিফ)। ৫৫. দাজ্জাল ও ইয়াজুজ-মাজুজের বের হওয়া সত্য। (আকিদাতুত্ ত্বাহাভি)। ৫৬. পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়া এবং বিশেষ ধরনের প্রাণীর আবির্ভাব হওয়া সত্য। (প্রাগুক্ত)। ৫৭. কিয়ামতের অন্যান্য নিদর্শন এবং শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া সত্য। (সহিহ বুখারি)। ৫৮. কবরে মুনকার-নাকিরের প্রশ্ন এবং কবরের আজাব সত্য। (আকিদাতুত ত্বাহাভি)। ৫৯. মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার জীবিত হওয়া এবং হাশরে উপস্থিত হওয়া সত্য। (প্রাগুক্ত)। ৬০. হাউজে কাউসার এবং সুপারিশ সত্য। (প্রাগুক্ত)। ৬১. আমলগুলোর ওজন এবং কিতাব বা আমলনামা প্রদান সত্য। (প্রাগুক্ত)। ৬২. পুলসিরাত, জান্নাত ও দোজখ সত্য। (প্রাগুক্ত)। ৬৩. আখিরাতে আল্লাহ তায়ালার দিদার বা সাক্ষাৎ সত্য। (প্রাগুক্ত)। ৬৪. পরকালে মুমিনদের সর্বদা জান্নাতে এবং কাফেরদের সর্বদা জাহান্নামে থাকা সত্য। (প্রাগুক্ত)। ৬৫. ফাসেককে কাফের বলা যাবে না, সে জাহান্নামে সর্বদা থাকবে না। (প্রাগুক্ত)। ৬৬. আল্লাহ তায়ালার আরশ ও সিংহাসন সবচেয়ে বড় সৃষ্টি। (প্রাগুক্ত)। ৬৭. লাওহে মাহফুজ, কলম ও রূহের জগতের অঙ্গীকার সত্য। (প্রাগুক্ত)। ৬৮. ইসলামই আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র পছন্দনীয় ধর্ম। (প্রাগুক্ত)। ৬৯. ইসলাম ব্যতীত জাহান্নাম থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই। (প্রাগুক্ত)। ৭০. শরিয়তের বিধান চালু করার জন্য আমির নিযুক্ত করা অপরিহার্য। (শরহে আক্বাইদ)।
No comments