তায়াম্মুম করার সঠিক নিয়ম
শরীর পবিত্র রাখার প্রধান উপায় হলো গোসল এবং ওজু। তাছাড়া নামাজের প্রধান শর্তও ওজু। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নামাজের পূর্বে ওজু করে থাকেন। শরিয়ত মোতাবেক ওজু করার জন্য যদি হাতের কাছে পানি পাওয়া না যায়, তখন তায়াম্মুমের বিধান রয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, তায়াম্মুম কি? কিংবা কিভাবে তায়াম্মুম করতে হয়? তায়াম্মুমের বিস্তারীত নিচে দেয়া হলো-
তায়াম্মুম কি?
তায়াম্মুম মানে হচ্ছে ইচ্ছা করা। শরীয়তের পরিভাষায়, পবিত্র মাটি দ্বারা পাক ও পবিত্র হওয়ার নিয়্যাতে মুখমণ্ডল ও উভয় হাত কনুইসহ মাসেহ করা। তায়াম্মুম ওজু ও গোসলের পরিবর্তে করা যায়। তায়াম্মুমের অনুমতি উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য মহান আল্লাহর এক বিশেষ দান। বস্তু পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে পানি। যা আল্লাহ তাআলা পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করে রেখেছেন। তারপরও অবস্থার আলোকে যদি পানি পাওয়া না যায় বা বান্দা অসুস্থ হয়ে পানি ব্যবহারে অপারগ হয়, সে সময় কি করবে। তাইতো আল্লাহ বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهَّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
বাংলায় অনুবাদ-
অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।
তায়াম্মুমের ফরজ ৩টি-
১) পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যাত করা, ২) উভয় হাত পবিত্র মাটিতে মেরে তা দিয়ে সমস্ত মুখমণ্ডল মাসেহ করা এবং ৩) উভয় হাত মাটিতে মেরে তা দিয়ে উভয় কনুই মাসেহ করা।
তায়াম্মুমে সুন্নাত ৭টি-
১) তায়াম্মুমের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ বলা’, ২) উভয় হাত পাক পাটিতে মেরে সামনের দিকে নেয়া, ৩) তার পর পিছনের দিকে নিয়ে আসা, ৪) হাত মাটিতে মারার পর মাটি ঝেড়ে ফেলা, ৫) মাটিতে হাত মারার সময় আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে রাখা, ৬) মাসেহের তারতিব ঠিক রাখা, ৭) বিরতিহীনভাবে তায়াম্মু করা অর্থাৎ উভয় মাসেহে বিলম্ব না করা।
তায়াম্মুমের মুস্তাহাব
যে ব্যক্তির প্রবল ধারণা যে, শেষ সময় পর্যন্ত পানি পাওয়া যাবে, এমন ব্যক্তির জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা মুস্তাহাব। আর যদি পানি পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে তায়াম্মুম করে মুস্তাহাব ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা।
১) পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যাত করা, ২) উভয় হাত পবিত্র মাটিতে মেরে তা দিয়ে সমস্ত মুখমণ্ডল মাসেহ করা এবং ৩) উভয় হাত মাটিতে মেরে তা দিয়ে উভয় কনুই মাসেহ করা।
তায়াম্মুমে সুন্নাত ৭টি-
১) তায়াম্মুমের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ বলা’, ২) উভয় হাত পাক পাটিতে মেরে সামনের দিকে নেয়া, ৩) তার পর পিছনের দিকে নিয়ে আসা, ৪) হাত মাটিতে মারার পর মাটি ঝেড়ে ফেলা, ৫) মাটিতে হাত মারার সময় আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে রাখা, ৬) মাসেহের তারতিব ঠিক রাখা, ৭) বিরতিহীনভাবে তায়াম্মু করা অর্থাৎ উভয় মাসেহে বিলম্ব না করা।
তায়াম্মুমের মুস্তাহাব
যে ব্যক্তির প্রবল ধারণা যে, শেষ সময় পর্যন্ত পানি পাওয়া যাবে, এমন ব্যক্তির জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা মুস্তাহাব। আর যদি পানি পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে তায়াম্মুম করে মুস্তাহাব ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা।
তায়াম্মুম ভঙ্গে কারণ
যে সব কারণে ওজু নষ্ট হয় সেসব কারণে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়। যে সব কারণে গোসল ওয়াজিব হয়, সে সব কারণে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যায়। যদি পানি না পাওয়ার কারণে তায়াম্মুম করা হয়ে থাকে, তাহলে পানি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
কোন ওজর বা রোগের কারণে যদি তায়াম্মুম করা হয়ে থাকে, তবে সে ওজর বা রোগ দূর হয়ে গেলে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে থাকে।
যে সব কারণে ওজু নষ্ট হয় সেসব কারণে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়। যে সব কারণে গোসল ওয়াজিব হয়, সে সব কারণে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যায়। যদি পানি না পাওয়ার কারণে তায়াম্মুম করা হয়ে থাকে, তাহলে পানি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
কোন ওজর বা রোগের কারণে যদি তায়াম্মুম করা হয়ে থাকে, তবে সে ওজর বা রোগ দূর হয়ে গেলে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে থাকে।
No comments